রূপগঞ্জে পাড়া মহল্লাসহ সর্বত্রই অবাধে চলছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। কোন বাধা বিঘ্ন না থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে রূপগঞ্জের সাতটি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভাসহ সর্বত্রই এই মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
তারমধ্যে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন মাহনা, সাওঘাট, আধুরীয়া এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা অবাধে চললেও বাধা দেয়ার কেউ নেই। এ সকল মাদক ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে গেলে অনেকেই অপমান অপদস্থ হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এলাকায় একটা প্রভাবশালী মহল এই মাদক ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
অভিজ্ঞ মহল মনে করেন কোন বাধা না থাকার কারণে সকল এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসার সুযোগের ফলে তরুণদের সাথে শিশুরাও মাদক সেবনের সাথে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ এ সকল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বললে অভিযোগকারীরাও তাদের কাছে অপমান অপদস্থ হতে হচ্ছে।
আরো অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসা প্রতিরোধের ব্যাপারে কোন লোক পুলিশের সহযোগিতা কামনা করলেও পুলিশ তাদের কাছে অভিযোগকারীর নাম বলে দেয়া হয়। ফলে অভিযোগকারীদের পড়তে হয় বিপদে।
ইতোমধ্যে ইউনিয়ন মাহনা আধুরিয়া গোলাকান্দাইল উত্তরপাড়া বালুর মাঠ, কালি এলাকার ভান্ডারীর বাড়ি, আমলাবো কালী, মুসলিম পাড়া, ডুলুরদিয়া এলাকায় মাদক ব্যবসা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এ সকল এলাকায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলেও কোন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এলাকার সচেতন মহল মনে করেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জোড়ালো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ ব্যাপারে ভুলতা পুলিশ বাড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ সর্বদা সথেষ্ট রয়েছে। ইতোমধ্যে যাদের মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই মাদক মামলা দিয়ে আটকদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের জিরো টলারেন্স অব্যাহত আছে। মাদক ব্যবসায়ীরা সমাজে যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
টিএইচ